বাংলাদেশে সমবায়ের বিশাল আকারে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সারাদেশ জুড়ে সমবায় সমিতি ও সমবায় ব্যাংকের বড় পরিকল্পনা থাকা উচিত। সারাদেশ এমনকি গ্রাম পর্যায়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সমবায় ব্যাংকের একটা লিংকআপ তৈরী করলে ভালোয় হবে বলে আমি মনে করি। মানুষ অতিরিক্ত অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা সঞ্চয় করতে পারবে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে। এতে করে সময় ও খরচ দুইটিই বাঁচবে। বাংলাদেশের ১৬ কোটির উপরে মানুষ ১২ কোটি মানুষের কাছে আজ মোবাইল। জানুয়ারি ২০১৪ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৫২ লাখ ৩৬ হাজার। এসব গ্রাহকের সচল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার। আগের মাস ডিসেম্বরে মোট গ্রাহক ছিল দুই কোটি ৫১ লাখ ৮৬ হাজার। আর সচল ছিল এক কোটি ২১ লাখ ৫৪ হাজার অ্যাকাউন্ট। এতে এক মাসের ব্যবধানে মোট গ্রাহক ৫০ হাজার বাড়লেও সচল অ্যাকাউন্ট কমেছে ১১ লাখ। এই যে এতো মানুষ ব্যাংকিং এর আওতায় আসলো, এই সব মানুষদের আরো অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব। এই সকল মানুষদের ঝামেলা মুক্ত ঘুষ মুক্ত দুর্নীতি মুক্ত সমাজ করা সম্ভব। টাকা দিয়ে এ সম্পর্ক তৈরী হয় আবার টাকা দিয়ে এ সম্পর্ক শেষ হয়। এই জন্য এই টাকার লেনদেনটা ঝামেলা মুক্ত ভাবে ভায়া মিডিয়া না হয়ে সরাসরি গ্রাহক ও সার্ভিস হোল্ডারদের সংযুক্ত করা ভালো।
Wednesday, 25 February 2015
চলচ্চিত্র ও আমি
সময়ঃ 00:56:00 | লেখকঃ Minhazur Rahman Nayan
চলচ্চিত্র নিয়ে এতটা শখ ছিলোনা আমার, হটাত করেই চালু করি Chitrojogot.Com নামের সাইট। কিন্তু নিউজ সাইট হইয়াই আর বেশিদিন চালু রাখতে পারিনি। নিউজ সংগ্রহ করা খুব একটা বেশি কঠিন ছিলোনা, বিষয়টা হয়ে গেছে স্পন্সর না পাওয়া। শেষমেষ কোনো স্পন্সর না পেয়ে ১২০০ তে আসা আমার সাইটটি বন্ধ হয়ে যায় এখানেও বারিশাল্লার গাফলতির কারণে। আর তারপর বোফা গ্রুপে হালকা এক্টিভ থাকি। বোফা সর্বশেষ ২২ হাজার মেম্বারের একটি গ্রুপে পরিণত হয়ে গেছে। তবে এদের ফাউন্ডার মেম্বেরদের অবস্থা খুব একটা বেশি ভালো নেয় আহমেদ জামান শিমুলের Dhallywood24.Com ছাড়া। তাদের আরো কিছু সার্ভিসের কারণে তাদের সাইটের আয় অনেকগুণ। বেশিরভাগ সার্ভিসই চলচ্চিত্রকে নিয়ে। এছাড়াও সাজ্জাদ খানের Cinemanews24.Com ভালয় এগিয়ে আছে চলচ্চিত্র, নাটক, গান, থিয়েটার সব ধরনের বিনোদনের নিউজ তারা পাবলিশ করে। Cinemanews24.Com এর দায়িত্বে আছেন আমিনুল ইসলাম শাওন। এছাড়া আর কোনো সাইটেয় শুধু চলচ্চিত্র কেন্দ্রিক না। তবে আমি মনে করি সবায় মিলে কাজ করলে চলচ্চিত্রের প্রতি সাধারণ মানুষের একটি পরিবর্তন আসবে এতে চলচ্চিত্রেরও একটি পরিবর্তন আসবে।
আমি এখানেই থেমে নেয় আসবো আবার............................
আমি এখানেই থেমে নেয় আসবো আবার............................
Tuesday, 24 February 2015
চিত্রজগত অতপর
সময়ঃ 15:15:00 | লেখকঃ Minhazur Rahman Nayan
কখনো ভাবিনি যে আমি কোনদিন ফিল্ম সম্পর্কীয় কোনো কাজ করতে পারবো বা করবো তারপরো কিভাবে কেনো যেনো চায়ের দোকানের তাফায়েলকে দেখে মনে হলো সে আমার গল্পের নায়ক। তাকে নিয়ে গল্পটা সৃষ্টি হয়েছিলো মনের অজান্তেই কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়া। শুধু কি মানুষ মেয়েদের দিকেয় তাকায় ? ছেলেদের মধ্যে কি কোনো পার্সোনালিটি নেয়। দেখার ভাব ভঙ্গিটা অনেক কিছু। নজর যদি ভালো থাকে তবে যতোই দেখতে কুত্সীত হোক মানুষ প্রেমে পরে যাবে। প্রেম এ আবার আরেক পাগলাচোদা কাজকারবার। কখন যে কার সাথে কেন ওয়াই ফায় এর কানেক্ট হয়ে যাবে কেউ জানবে না। এখানে প্রেম প্রকাশ করতে পারাটা অনেক বড় পুরুষত্বের পরিচয়। ফিল্মের যেকোনো একটা কাজে ঢুকতে পারতাম কিন্তু সাংবাদিকতা কেনো ? লেখালেখির কিছুটা অভ্যাস থাকায় জার্নালিজম পড়তে চেয়েছিলাম কিন্তু হয় নায়। সেই কারণে একটু ঝোক তাছাড়া আগে থেকেও কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে। তারপর হটাত Chitrojgot.com নামের সাইট নেয় এবং চালু করি কিন্তু বন্ধু সুমন মোল্লার পেচের কারণে ওই প্রজেক্ট ও বন্ধ করে দিতে হয়।
বন্ধু আরমান
সময়ঃ 14:28:00 | লেখকঃ Minhazur Rahman Nayan
২০০৭ দিন, মাস কোনটায় মনে নেয়। এক সাথে আমি আরমান কোচিং এ যাচ্ছিলাম। গেয়েও কি যেনো হলো আর যাওয়া হলোনা, গেলাম গেমসের দোকানে গেমস খেললাম। এরপরও দুই একদিন গেছিলাম ধরা পরিনি এই প্রথম স্কুল পালানো তার উপর আবার গেমস খেলা। এর পরের দিন ঠিকই ধরা খেয়ে গেলাম, আম্মা ও আরমানের মা ধরে ফেলেছিলো। এরপর অনেকদিন আরমানের সাথে আর কথা হয়নি। মাঝে মাঝে ছাদে দেখা হতো। ফেসবুক ছিলোনা আমাদের কাছে। তখন আমাদের দেখা বা যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারকম। এরপর আমাদের বিল্ডিং এ রিয়ান এলো তার সাথে আমার আগে থেকে খাতির ছিলো একদিন রাতে তার বাসায় ছিলাম সারারাত গল্প করেছি। সকালে তার নানী নাস্তা খাওয়াইছে। রিয়ান আমি আরমান ভালোয় জমতো রিয়ান আমাদের মনের কারবার বেশি এইখানে এসে সেই কামটাও করেছিলো এই জন্য কি কেনো কিভাবে হলো মজায় লাগতো। রিয়ান চলে যাওয়ার পরে আরমানের সাথে আর কথা হয়নাই। পরে আরমান তার মামার বাড়ি গিয়ে থাকতো মামাতো ভাইদের সাথে নাকি ভালয় কাটত তার। এরপর একদিন শুনি আরমান নাকি আত্মহত্যা করেছে গলায় কি যেন করে। তার ভাইয়ের কাজ থেকে শুনি তাকে নাকি মানসিক হাসপাতালে রাখা হইছিলো মনে হয় মোহাম্মদপুর এর দিকে। এর পর মনটা অনেক খারাপই হয়ে গেলো তার জন্য। তার জানাজা, কবর দুইটাতেই ছিলাম। রিয়ান কবর দিতে এসে কান্নায় ফেটে পরেছিলো আজিমপুর গোরস্থানে। এই জায়গাটা সালা কেউ না মরলে আসে না।
আজ হটাত কেনো যেনো তার কথা মনে হলো।
আজ হটাত কেনো যেনো তার কথা মনে হলো।