২০০৭ দিন, মাস কোনটায় মনে নেয়। এক সাথে আমি আরমান কোচিং এ যাচ্ছিলাম। গেয়েও কি যেনো হলো আর যাওয়া হলোনা, গেলাম গেমসের দোকানে গেমস খেললাম। এরপরও দুই একদিন গেছিলাম ধরা পরিনি এই প্রথম স্কুল পালানো তার উপর আবার গেমস খেলা। এর পরের দিন ঠিকই ধরা খেয়ে গেলাম, আম্মা ও আরমানের মা ধরে ফেলেছিলো। এরপর অনেকদিন আরমানের সাথে আর কথা হয়নি। মাঝে মাঝে ছাদে দেখা হতো। ফেসবুক ছিলোনা আমাদের কাছে। তখন আমাদের দেখা বা যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারকম। এরপর আমাদের বিল্ডিং এ রিয়ান এলো তার সাথে আমার আগে থেকে খাতির ছিলো একদিন রাতে তার বাসায় ছিলাম সারারাত গল্প করেছি। সকালে তার নানী নাস্তা খাওয়াইছে। রিয়ান আমি আরমান ভালোয় জমতো রিয়ান আমাদের মনের কারবার বেশি এইখানে এসে সেই কামটাও করেছিলো এই জন্য কি কেনো কিভাবে হলো মজায় লাগতো। রিয়ান চলে যাওয়ার পরে আরমানের সাথে আর কথা হয়নাই। পরে আরমান তার মামার বাড়ি গিয়ে থাকতো মামাতো ভাইদের সাথে নাকি ভালয় কাটত তার। এরপর একদিন শুনি আরমান নাকি আত্মহত্যা করেছে গলায় কি যেন করে। তার ভাইয়ের কাজ থেকে শুনি তাকে নাকি মানসিক হাসপাতালে রাখা হইছিলো মনে হয় মোহাম্মদপুর এর দিকে। এর পর মনটা অনেক খারাপই হয়ে গেলো তার জন্য। তার জানাজা, কবর দুইটাতেই ছিলাম। রিয়ান কবর দিতে এসে কান্নায় ফেটে পরেছিলো আজিমপুর গোরস্থানে। এই জায়গাটা সালা কেউ না মরলে আসে না।
আজ হটাত কেনো যেনো তার কথা মনে হলো।
আজ হটাত কেনো যেনো তার কথা মনে হলো।